অতুল পাল,বিশেষ প্রতিনিধি: বাউফলের মদনপুরা-রামনগর সড়কের আরর্শেদ কুলি খানের বাড়ির কাছে খালের ওপর ২৮ লাখ টাকা ব্যয়ে একটি ব্রিজ নির্মাণাধিন অবস্থায় দেবে গেছে। ব্রিজটির নিচের বেইজমেন্টে কোন পাইল না করে উপরে স্লাব ঢালাইয়ের কিছু সময়ের মধ্যেই এটি নিচের দিকে দেবে যায় বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন।
জানা গেছে, ত্রাণ ও দুর্যোগ মন্ত্রণালয়ের অধিনে ২০১৫-১৬ অর্থ বছরে ওই সড়কের আর্শেদ কুলি খানের বাড়ির সামনে খালের উপর প্রায় ২৮ লাখ টাকা ব্যয়ে ২৬ ফুট দৈর্ঘ্যের এই আরসিসি ব্রিজের নির্মাণ কাজ জুন মাসের মাঝামাঝি সময় শুরু হয়। রাসেল মৃধা নামের এক ঠিকাদার ব্রিজটির নির্মাণ কাজ করছেন। স্থানীয়রা অভিযোগ করেন, নি¤œমানের নির্মাণ সামগ্রী দিয়ে ব্রিজটির কাজ করা হচ্ছিল। ব্রিজটির দুই পাশে গাইড ওয়াল ও স্লাবে নিয়ামানুযায়ি রড দেয়া হয়নি। ব্রিজটির উপরের অংশে স্লাবে ৪ ইঞ্চি ও গাইডওয়ালে ৬ ইঞ্চি পর পর সিক্সটি গ্রেডের রড ব্যবহার করার কথা থাকলেও তা করা হয়নি। এছাড়া ব্রিজটির নিচের বেইজমেন্টে পাইল স্থাপন করে তার উপর লোহার খুটি দিয়ে (বল্লি) শক্ত কাঠের উপর পেলন সিট বিছিয়ে সেন্টারিং করে আরসিসি স্লাব ঢালাই দেয়ার কথা থাকলেও সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার (পিআইও) সাথে যোগসাজ করে কেবল বাঁশের খুটি দিয়ে সেন্টারিং করে তার উপর কাঠ বিছিয়ে স্লাব ঢালাই করা হয়। স্থানীয়রা জানান, স্লাব ঢালাই দেয়ার কয়েক ঘন্টা পরই ব্রিজটির দক্ষিণ পূর্ব পাশের অংশ নিচের দিকে দেবে যায়। শনিবার সকালে ব্রিজটির উপরের ওই আরসিসি স্লাব ঢালাই দেয়া হয়। এলাকার লোকজন অভিযোগ করেন, ব্রিজটির স্লাব ঢালাইর সময় সংশ্লিষ্ট বিভাগের কোন কর্মকর্তা কর্মচারী উপস্থিত ছিলেন না। এ ব্যাপারে প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) মোঃ দেলোয়ার হোসেন বলেন, যথাযথ নিয়ম মেনেই ব্রিজটির নির্মাণ কাজ হচ্ছে। ঢালাইয়ের সময় বল্লি খুলে যাওয়ায় ব্রিজটি একটু দেবে গেছে। এরজন্য কোন সমস্যা হবে না। এদিকে একই মন্ত্রণালয়ের অধিনে নির্মিত ৩০টি ব্রিজের মধ্যে রনি এন্টার প্রাইজ, পারভেজ এন্টার প্রাইজ, সাদমান বিল্ডার্স, মেসার্স মায়ের দোয়া, একতা এন্টার প্রাইজ, মাহমুদুল হকসহ মোট ৮টি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানকে কাজ সম্পন্ন দেখিয়ে শতভাগ বিলের টাকা পরিশোধ করে দেয়া হয়েছে। অথচ ওইসব ব্রিজের এ্যাপ্রোচ সড়ক এখনও নির্মিত হয়নি। সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র জানায়, ওই ৮টি ব্রিজের অনুকুলে ঠিকাদারদের ১ কোটি ৪০ লাখ টাকা বিল পরিশোধ করা হয়েছে।