আমতলী প্রতিনিধিঃ অবশেষে বন্ধ হলো আমতলীর আনন্দ মেলার নামে জুয়া ও নগ্ন নৃত্যের আসর। গত শুক্রবার রাত সাড়ে নয়টায় সাকার্সে ঢোকাকে কেন্দ্র করে দলের দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এতে উভয় গ্রুপের কমপক্ষে ৩০ জন আহত হয়েছে। এদের মধ্যে ৪ জনের অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় তারা শেবাচিম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে ।মেলায় জুয়ার আয়োজক আবুল কাশেম চন্দন ওরফে জুয়াড়ী চন্দন পলাতক রয়েছে। আনন্দ মেলার নামে নগ্ন নৃত্য ও জুয়ার আসর বসিয়ে লাখ লাখ টাকার খেলা চলছে। কেউ নিঃস্ব হচ্ছে আবার কারো হাড়ি ভারি হচ্ছে। জুয়াড়ী চন্দন হাইকোর্টে বরগুনার আবাহনী ক্লাবের উন্নয়নের নামে আনন্দ মেলার অনুমোদন নিয়ে আসে বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে। অথচ আমতলী ও বরগুনায় আবহানী ক্রিয়া চক্র নামে কোন ক্লাবের অস্তিত্ব নেই বলে স্থানীয়রা দাবী করেছে।
স্থানীয় সূত্রে জানাগেছে, সার্কাস প্যান্ডেলে প্রবেশকে কেন্দ্র স্থানীয় দুই গ্রুপের সংঘর্ষ বাঁধে। সাকার্সের নিরাপত্তা কর্মী মো. নাশির জানান রাত নয়টার দিকে ১২/১৫ জন লোক সার্কাসের ভিতরে প্রবেশ করতে চায়। তাদেরকে প্রবেশ করতে বাধা দিলে তারা জোরপূর্বক সার্কাসের মধ্যে প্রবেশ করে। এ ঘটনা কে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ বাঁেধ।
আমতলী থানার ভারপ্রাপ্ত পুলিশ কর্মকর্তা পূলক চন্দ্র রায় জানান এ ঘটনায় থানায় কোন মামলা হয়নি। পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। মেলা বন্ধ করে দেয়া হয়েছে ।