কে এম সোহেল,আমতলী প্রতিনিধিঃ বরগুনার আমতলী উপজেলার পূর্ব চিলা গ্রামের দিন মজুর আসাদুর রহমান(আসাদুল)কে পিটিয়ে হত্যা মামলার প্রধান আসামী সুমন হাওলাদার, মো. মনির হাওলাদার , ছগির হাওলাদার, মো.মোক্তার হাওলাদার, মো.রফিক হাওলাদার. মো. মামুন হাওলাদার বুধবার আমতলী উপজেলা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্টেট আদালতে আত্মসমার্পন করেন । বিজ্ঞ বিচারক তাদের জামিন না মঞ্জুর করে বরগুনা জেল হাজতে প্রেরনের নির্দেশ দেন।
এ ঘটনায় বরগুনা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনালে সুমনকে আসামী করে শিশু কন্যার মা রিনা বেগম মামলা করেন। এ মামলায় আসামী সুমন ৭ মাস জেল হাজতে ছিল। হাজত থেকে বের হয়ে সুমন ও তার লোকজন মামলা তুলে নেয়ার জন্য শিশুর বাবাকে হুমকি দেয়। কিন্তু শিশুর বাবা আসাদুর রহমান(আসাদুল) মামলা তুলে নিতে রাজি হয়নি। পরে তাদের ভয়ে তিনি বাড়ী ছেড়ে পালিয়ে ঢাকায় যায়। কিছু দিন পর বাড়ীতে আসারপর তাকে মামলা তুলে নেয়ার জন্য পুনরায় হুমকি দেয়। এতে সে রাজি না হওয়াতে ক্ষিপ্ত হয় সুমন।
ঘটনার দিন মঙ্গলবার ১৭ মে বিকেলে আসাদুল আশিখার খাল সলগ্ন সুমনের বাড়ীর দক্ষিন পাশে খাল খননের কাজ দেখতে যায়। এ সময় খাল খননের কাজ নিয়ে সুমনের বড় ভাই মনির হাওলাদারের সাথে কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায় মনির ও মনিরের ভগ্নিপতি মহসিন গাজী আসাদুল কে মারধর শুরু করেন এ অবস্থায় সুমন দৌড়ে এসে আসাদুলের মাথায় রট দিয়ে আঘাত করে। এতে আসাদুল গুরুতর আহত হয়।
আহতকে রাতে দ্রুত আমতলী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আনা হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. তেংমং তাকে বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে প্রেরন করেন। বরিশাল নেয়ার পথে লেবুখালী ফেরীঘাট নামক স্থানে রাত ১০ টার দিকে তার মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী রিনা বেগম বাদী হয়ে আমতলী থানায় ধর্ষক সুমনকে প্রধান করে ১৪ জনের নামে হত্যা মামলা দায়ের করেন । পুলিশ ঐ দিন রাতেই রব্বানী ও ইলিয়াস নামের দু’জনকে গ্রেফতার করেন।
উল্লেখ্য, এ বছরের ১৭ মে উপজেলার পূর্ব চিলা গ্রামের মেয়ে ধর্ষন মামলার আসামী প্রতিবেশী সমুন হাওলাদার ও তার সাথে থাকা অন্য আসামীরা ধর্ষিতার পিতা আসাদুর রহমান(আসাদুল)কে পিটিয়ে হত্যা করেন। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানাগেছে, ২০১৪ সালে ১০ মে উপজেলার পূর্বচিলা গ্রামের আসাদুলের শিশু কন্যাকে (১০) ধর্ষণ করে প্রতিবেশী সুমন হাওলাদার।
আমতলী পৌর শহরের মো. পাশা মিয়া । রিকশা চালিয়ে মা-, স্ত্রী ও এক ছেলের সংসার চালান। ঈদে তার পরিকল্পনা জানতে চাইলে বলেন, ঈদ আমাদের জন্য না, ঈদ হচ্ছে ধনীদের জন্য। ওরাই আনন্দ খুশি পালন করে। আমাদের জন্য সারা বছরই রোজা।