Tuesday, December 10, 2024
Tuesday, December 10, 2024
Homeজাতীয়উপকূলীয় লবনাক্ত এলাকায় উন্নতজাত-লাইনের ফেলন ডালের মাঠ পরিদর্শন ও মুল্যায়ন

উপকূলীয় লবনাক্ত এলাকায় উন্নতজাত-লাইনের ফেলন ডালের মাঠ পরিদর্শন ও মুল্যায়ন

পটুয়াখালী প্রতিনিধিঃ

পটুয়াখালীতে গত ২৬ এপ্রিল ২০২৪ইং তারিখ পটুয়াখালীর দিয়ারামখোলা, কুয়াকাটা, কলাপাড়ায় বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট কর্তৃক উদ্ভাবিত বিভিন্ন ফসলের সূর্যমুখী, মুগডাল ও ফেলন ডালের উপর মাঠ পরিদর্শন ও কৃষক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সরেজমিন গবেষণা বিভাগ, বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট, পটুয়াখালীর সহযোগিতায় এ কার্যক্রমে ড. মাজহারুল আনোয়ার, মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা, সরেজমিন গবেষণা বিভাগ, বিএআরআই, গাজীপুর এর সভাপতিত্তে¡ প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইনস্টিটিউট এর সম্মানিত মহাপরিচালক ড. দেবাশীষ সরকার। এ সময় উপস্থতি ছলিনে পরিচালক (ডাল গবষেণা) ড. মো. ছালেহ উদ্দিন, ড. ফেরদৌসী বেগম, প্রকল্প সমন্বয়ক ও মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা, কৃষতিত্ত্ব বভিাগ, বিএআরআই, গাজীপুর, ড. বমিল চন্দ্র কুন্ডু, মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা, আর এ আর এস, বিএআরআই, রহমতপুর, বরিশাল, ড. মো. হারুনুর রশীদ, মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা, সরেজমিন গবেষণা বিভাগ, বিএআরআই, খুলনা, ড. মোঃ মাহবুবুল আলম, ড. মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান তালুকদার, ড. মোঃ গোলাম কিবরিয়া, প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা, কৃষিবিদ জনাব মো. নজরুল ইসলাম, উপ পরিচালক, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, পটুয়াখালী। এছাড়া আরো উপস্থিত ছিলেন গবেষনা ও সমপ্রসারণ বিভাগের বিভিন্ন স্তরের কর্মকর্তাবৃন্দ। এ মাঠ দিবস ও কৃষক সমাবেশে প্রায় ২০০ কৃষক কৃষানী অংশগ্রহন করেন।

    অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন ড. এইচ, এম খায়রুল বাসার, উর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ও প্রধান, সরেজমিন গবেষণা বিভাগ, বিএআরআই, পটুয়াখালী। দক্ষিণাঞ্চলের পতিত জমি আবাদের লক্ষ্যে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট কর্তৃক বিভিন্ন ফসলের উন্নত জাত প্রদর্শনী ও বিভিন্ন জাতের ট্রায়াল স্থাপন করা হয় এবং মাঠ পরিদর্শনের মাধ্যমে কৃষকদেরকে উৎসাহ দেয়া হয়। ফসলের মধ্যে বারি সূর্যমুখী-২ এবং ৩, বারি মুগ-৬ এবং বারি ফেলন-১ এর উৎপাদন কার্যক্রম বিদ্যমান। বিজ্ঞানীরা জানান বারি সূর্যমুখী-২ এবং ৩ একটি উচ্চ ফলনশীল জাত যা প্রায় হাইব্রিডের মত ফলন দেয় এবং এ সূর্যমুখীর জাতের বীজ কৃষকরা নিজেই নিজের বীজ উৎপাদন এবং পরবর্তী বছরের জন্য সংরক্ষণ করতে পারবেন। এ জাতে প্রায় ৪২-৪৪ ভাগ তেল আছে। বারি মুগ-৬ এবং বারি ফেলন-১ ও একটি উচ্চ ফলনশীল জাত এবং এ বীজ ও কৃষকরা পরবর্তী বছরের জন্য সংরক্ষণ করতে পারবেন। মহাপরিচালক বলেন, বর্তমান সরকারের কৃষি উন্নয়নে তেল ফসলের আমদানী নির্ভরতা কমিয়ে দেশে তেল উৎপাদন বাড়াতে হবে। তিনি ভবিষ্যতে এ এলাকার পতিত জমি আবাদের আওতায় আনার জন্য বিজ্ঞানীদের নির্দেশনা দেন এবং সহযোগীতার হাত আরো বাড়িয়ে দেবেন বলে আশ্বাস দেন। এ সময় তিনি দিয়ারামখোলাকে বিএআরআই কৃষি প্রযুক্তি হিসেবে গড়ে তুলবেন বলে ঘোষনা করেন।

RELATED ARTICLES

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -
Google search engine

Most Popular

Recent Comments