ক্রীড়াবিদ ও ক্রীড়া সংগঠকদের মধ্যে প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক প্রদত্ত ১ কোটি ২৭ লাখ টাকার চেক হস্তান্তর করা হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার (৭ এপ্রিল) দুপুরে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের সভাকক্ষে আর্থিক অনুদানের চেক হস্তান্তর করেছেন যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী মো. জাহিদ আহসান রাসেল এমপি।
এ সময়ে যুব ও ক্রীড়া সচিব মেজবাহ উদ্দিন উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, অন্যান্যের মধ্যে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের সচিব পরিমল সিংহ, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুব ও ক্রীড়া সম্পাদক হারুনর রশীদ, সাবেক ফুটবলার আবদুল গাফফার, জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত ফুটবলার শেখ আসলাম, মন্ত্রণালয় ও জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের উর্দ্ধতন কর্মকর্তাবৃন্দ ও বিভিন্ন ক্রীড়া ফেডারেশনের নেতৃবৃন্দ।
প্রধানমন্ত্রীর প্রতি বিশেষ কৃতজ্ঞতা জানিয়ে যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘বিশ্বের ইতিহাসে আমাদের প্রধানমন্ত্রীর মতো মানবিক প্রধানমন্ত্রী আছে কি না, আমার জানা নেই! এটি সত্যি নজিরবিহীন। প্রধানমন্ত্রীর কাছে যে কোনো খেলোয়াড় বা সংগঠক যার জন্য সাহায্যের আবেদন করি, তিনি কখনও খালি হাতে ফেরান না। প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক বঙ্গবন্ধু ক্রীড়াসেবী কল্যাণ ফাউন্ডেশনকে সীডমানি হিসেবে ২০ কোটি টাকার চেক আমরা ইতিমধ্যে গ্রহণ করেছি। শুধু তাই নয়, মহিলা ক্রীড়া সংস্থার জন্য একটি ফান্ড গঠন করে দিবেন বলে জানিয়েছেন।
প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞতার শেষ নেই। বঙ্গবন্ধু চার জাতি ফিজিক্যালি চ্যালেঞ্জড ক্রিকেট টুর্নামেন্টে চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ দলের প্রত্যেক খেলোয়াড়কে তিনি ৫ লাখ টাকা করে দেওয়ার ঘোষণা দেন। এছাড়াও তিনি দেশে শারীরিকভাবে চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন মানুষ ও শিশুদের জন্য ক্রীড়াসংশ্লিষ্ট ১০ কোটি টাকার একটি তহবিল গঠন করা হবে বলেও ঘোষণা দেন।
অনুদানপ্রাপ্তদের মধ্যে স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের ৩ জন সদস্য এনায়েতুর রহমান ২০ লাখ টাকা, প্রয়াত মাহমুদুর রশিদের মেয়ে ৩০ লাখ টাকা ও ছেলে ৩০ লাখ টাকা এবং স্বাধীন বাংলা দলের প্রয়াত আরেক সদস্য এ কে এম নওশেরুজ্জামানের স্ত্রী ২৭ লাখ টাকার চেক গ্রহণ করেন।
এছাড়াও কৃতি ফুটবল খেলোয়াড় রিয়া সিনহা পক্ষে তার চিকিৎসাব্যয় নির্বাহের জন্য তার পিতা ১০ লাখ টাকা, আবু জেহাদ জুয়েল ৫ লাখ টাকা, সফল যুব উদ্যোক্তা প্রীতি ইসলাম ৫ লাখ টাকা গ্রহণ করেন।