কে এম সোহেল ,আমতলী প্রতিনিধিঃ বরগুনার তালতলী উপজেলার উপকুলীয় সংরক্ষিত টেংরাগিরি বনাঞ্চলে ইকো-ট্যুরিজমের ভিতরের ৩ কিলোমিটার সড়ক বেহাল দশায় পরিনত হয়েছে। নিশানবাড়িয়া ও নিদ্রা -ছকিনা জুড়ে নৈসর্গিক প্রাকৃতিক অভয়ারণ্য। বনবিভাগের চরম অযতœ আর অবহেলায় টেংরাগিরি সংরক্ষিত বনাঞ্চলের ইকো-ট্যুরিজম প্রায় ধংসের দ্বার প্রন্তে পৌছেছে।
পটুয়াখালী বন উপ-বিভাগীয় সুত্র জানাগেছে, ১৩ হাজার ৬৩৪ একর জমির উপর উপকুলীয় সংরক্ষিত প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্যের অপরুপ লীলাভুমি বনাঞ্চল রয়েছে সোনাকাটা টেংরাগিরি সংরক্ষিত ইকো-ট্যুরিজম। এখানে শত শত পর্যটকদের ভীড়ে মুখরিত হয়ে ওঠে এ বনাঞ্চল। বছরের কার্তিক মাস থেকে জ্যৈষ্ঠ মাস পর্যন্ত প্রতি নিয়ত বসছে পিকনিকের উৎসব। দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে থেকে ভ্রমন ও পিকনিক করতে আসছে শত শত পর্যটক। বনাঞ্চলের ভিতর ৩ কিলোমিটার ইটের ছলিং দিয়ে তৈরী সড়ক পথের মাঝে মাঝে রয়েছ ৯টি ক্যানল (খাল)।
অভিযোগ রয়েছে ২০১২-১৩ সালে আমতলী উপজেলা পরিষদ ২ কোটি ৬৩ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মিত সোনাকাটা টেংরাগিরি সংরক্ষিত বনাঞ্চলে ইকো-ট্যুরিজমের অবকাঠামো নির্মাণ কাজ নিম্নমানের হয়েছে। রাস্তার কাজ এতোই নিম্নমানের হয়েছে যা , বর্ষা মৌসুম শুরুর আগেই রাস্ত প্রায় বিলিন হয়ে গেছ।
সরজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, ইকো-ট্যুরিজমের ভিতর পর্যটকদের ঘুরে দেখার জন্য ৩ কিলোমিটার সড়ক ব্যবহারের খুবই অনুপোযোগী। অতি সত্তর এ সড়ক পুনঃ নির্মান করা না হলে ইকো-ট্যুরিজম হয়ে যাবে পর্যটক শুন্য। আর সরকার হারাবে কোটি টাকার রাজস্ব।
পটুয়াখালী বিভাগীয় ফরেষ্ট অফিসার অজিত কুমার রুদ্র বলেন, রাস্তা নির্মানের জন্য চলতি বছর রাজস্ব খাতে কোন বরাদ্ধ নেই। তবে নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় জেলা পরিষদের অর্থায়নে ও ক্রল প্রকল্পর টেংরাগিরি সহ-ব্যবস্থাপনা সংগঠনের মাধ্যমে সামনের শুকনো মৌসুমে সড়ক সংস্কার কাজ সম্পন করা হবে।