বিশেষ প্রতিনিধিঃ পটুয়াখালীতে কাজের কিশোরীকে মেয়েকে ধর্ষন চেষ্টা ও মারধরের ঘটনায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের মামলার প্রধান আসামী কামাল হোসেন (৩২) কে গ্রেফতার করায় বাদীকে ভয়ভীতিসহ জীবন নাশের হুমকির এক অভিযোগ পাওয়া গেছে।
পটুয়াখালী সদর থানায় দায়েরকৃত মামলা ও বাদীর অভিযোগ সূত্রে জানাগেছে, শহরের কলাতলা বাজার সংলগ্ন নুরক্লিনিকের পশ্চিম পাশের্^ সৌদি আরব প্রবাসী মাহতাব হোসেন কবিরের স্ত্রী মোসা: মাকসুদা বেগম তার নাবালক দুই ছেলে ও কাজের মেয়ে আখিনুর (১৪) কে নিয়ে বসবাস করে আসছিল। আখিনুর তিন মাসধরে মাকসুদা বেগমের বাসায় ঝি এর কাজ করে। এ অবস্থায় মাকসুদা বেগমের পাশের বাসার ননদের ছেলে বখাটে কামাল হোসেন আখিনুরকে বিভিন্ন সময় বিভিন্নভাবে ফুসলাইয়া যৌনকামনা চরিতার্থ করার চেষ্টা করে। আখিনুর এ ঘটনা জানালে মাকসুদা বেগম কামাল হোসেনকে ডেকে নিষেধ করলেও সে তার যৌনকামনা চরিতার্থ করার চেষ্টা করার জন্য আখিনুরকে বিভিন্নভাবে উত্যাক্ত করে। এ ঘটনা কামাল হোসেনের মা রাজিয়া বেগমকে জানালেও কামাল হোসেন তা কর্নপাত না করে ঘটনার দিন ১০.৬.১৬ইং তারিখ শুক্রবার রাত পৌনে ৯টার সময় মাকসুদা বেগমের ছেলে সৈয়দ ইমতিয়াজকে পাশের বাসা থেকে ডেকে আনতে আখিনুরকে পাঠায়। ফিরে আসার সময় নিকটবর্তী বিল্ডিং এর পাশে অন্ধকারে ওৎপেতে থাকা কামাল হোসেন আখিনুরকে ঝাপটে ধরে স্পর্শকাতর স্থানে হাত দিয়ে পাজামা খুলে ধর্ষনের চেষ্টা করে। এ সময় আখিনুরের ডাকচিৎকারে ছেলে সৈয়দ ইমতিয়াজ বাসা থেকে বের হয়ে ঘটনাটি দেখে। আখিনুর কান্নাকাটি করে বাসায় যায় এবং ঘটনাটি কামালের বোন সেলিনা বেগম, হেলেনা বেগম ও মা রাজিয়া বেগমকে জানায়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে কামাল হোসেন ও তার বোনেরা ও মা মিলে আখিনুরকে বেধরক মারধর করে। এ সময় আখিনুরকে বাঁচাতে এগিয়ে গেলে তারা মাকসুদা বেগমকেও মারধর করে। এ সময় ডাকচিৎকারে নিকট রাস্তার পাশে দোকানদার দুলাল খন্দকার ঘটনাস্থল গিয়ে মারধর থামায় এবং তাদেরকে ফিরিয়ে নেয়।
এ ঘটনার পরদিন মাকসুদা বেগম বাদী হয়ে সদর থানায় কামাল হোসেন(৩২), সেলিনা বেগম(২৮), হেলেনা বেগম(৪৫) ও রাজিয়া বেগমকে আসামী করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ সংশোধনী ২০০৩ এর ৯(৪)(খ) তৎসহ দ:বি: ৪৪৮/৩২৩পিসি ধর্ষনের চেষ্টা ও অনাধিকার গৃহে প্রবেশ করে মারপিট করার অপরাধ অভিযোগে মামলা দায়ের করেন। এ মামলার প্রধান আসামী কামাল হোসেনকে পুলিশ আটক করলে মামলার অন্য আসামী ও তাদের আত্মীয় স্বজন বাদীকে মামলা তুলে নিতে বিভিন্নভাবে ভয়ভীতি দেখায়ে জীবন নাশের হুমকি দিচ্ছে বলে বাদী মাকসুদা বেগম পটুয়াখালী প্রেসক্লাবে এসে সাংবাদিকদের জানান।