স্টাফ রিপোর্টার ঃ পটুয়াখালী জেলার রাঙ্গাবালী উপজেলার চরমোন্তাজ ইউনিয়নের চরমোন্তাজ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৫ম শ্রেনীর ছাত্রী স্মৃতি আক্তার (১২) বাল্য বিয়ে থেকে রক্ষা পেয়েছে । নারী নির্যাতন ও বাল্যবিবাহ প্রতিরোধে গঠিত লোকাল ইয়ুথ পার্লামেন্টের সদস্য ও পুলিশের হস্তক্ষেপে শুক্রবার এ বিয়ে বন্ধ হয়।
জানা গেছে, স্মৃতি দক্ষিন চরমোন্তাজ গ্রামের মোঃ দুলাল হাওলাদারের মেয়ে । সে ৫ম শ্রেনীর ছাত্রী। সংসারে অভাবের তাড়ণায় কণ্যা দায়সাড়া করতে স্মৃতির বাবা তার বিয়ে ঠিক করেছিল। শুক্রবার এ বিয়ে হওয়ার কথা ছিল। বিষয়টি এলাকাবাসী জানার পর স্থানীয় লোকাল ইয়ুথ পার্লামেন্টের সদস্য মোঃ আইয়ুব বাল্য বিবাহের বিষয়ে ইউএনএফপি এর নারী নির্যাতন ও বাল্যবিবাহ প্রতিরোধ কর্মকর্তা ফাতিমা সুলতানা ও লোকাল ইয়ুথ পার্লামেন্টের মোঃ জহিরুল ইসলাম কে অবগত করেন। তারা পটুয়াখালী জেলা পুলিশ ও রাঙ্গাবালী থানার কর্মকর্তাদের বিবাহটি বন্ধের জন্য আবেদন করেন।
এদিকে মেয়ের পরিবারের লোকজন বিব্রত হয়ে তড়িঘড়ি করে বিয়ের কাজ সম্পন্ন করেন। পরে পটুয়াখালী পুলিশ সুপারের নির্দেশে চরমোন্তাজ তদন্তকেন্দ্রের এ এস আই মোঃ ফয়সাল কৌশলে তাদেরকে খুজে বের করে সাদা কাগজে বিয়ে হয়নি এই মর্মে উপস্থিত ১০ জন স্বাক্ষীসহ অঙ্গীকারনামা তৈরি করেন । উক্ত অঙ্গীকারনামায় মেয়ের বাবা, মা ও স্থানীয় মুরব্বীগণের স্বাক্ষর রেখে ১৮ বছরের আগে মেয়ের বিয়ে দিবে না এবং ভবিষ্যতে এ ধরনের কর্মকান্ড করবে না মর্মে অঙ্গীকার করিয়ে তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়।
পটুয়াখালী পুলিশ সুপার সৈয়দ মোসফিকুর রহমান জানান, জেলার যে কোন ধরনে নারী নির্যাতন ও বাল্যবিবাহ প্রতিরোধসহ বেআইনি, অবৈধ ও সন্ত্রাসী কর্মকান্ড প্রতিরোধে পুলিশকে তথ্য দিতে সকলের প্রতি আহবান জানান।