কামরুজ্জামান বাঁধন মির্জাগঞ্জ(পটুয়াখালী)প্রতিনিধিঃ
পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জের পূর্ব মির্জাগঞ্জ এস.এম মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও পরিচালনা কমিটির সভাপতির যোগসাজসে অর্থের বিনিময়ে গোপনে একজন অফিস সহকারীসহ তিনজনকে নিয়োগ দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। নিয়োগ বাতিল চেয়ে বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির অভিভাবক সদস্য মোঃ আবুল কালাম মৃধা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যানসহ বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। এ ঘটনায় অভিভাবকসহ স্থানীয় জনসাধারনের মধ্যে চরম ক্ষোভ বিরাজ করছে।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, অফিস সহকারী পদে মোঃ নেয়ামুল, পিয়ন পদে মোঃ রাশেদুল ইসলাম ও আয়া পদে মমতাজ বেগম নিয়োগ প্রাপ্ত হয়ে গত ২৩ মে বিদ্যালয়ে যোগদান করেন। যোগদানের বিষয়টি জানাজানি হলে খোদ বিদ্যালয়ের শিক্ষক,পরিচালনা কমিটির সদস্য,অভিভাবক ও স্থাণীয়দের মধ্যে ক্ষোভের সঞ্চার হয়। ঐ বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির অভিভাবক সদস্য মোঃ আবুল কালাম মৃধা অভিযোগ করেন, সভাপতি মোঃ মাইন উদ্দিন সিকদার ও প্রধান শিক্ষক মোঃ আঃ সালাম মোটা অংকের উৎকোচের বিনিময়ে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসের কর্মকর্তাদের ম্যানেজ করে বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির অধিকাংশ সদস্যের অগোচরে নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করে উল্লিখিত তিনটি পদে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। তিনি আরো অভিযোগ করেন- আমি বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির অভিভাবক সদস্য হওয়া স্বত্তে¡ও এই নিয়োগের বিষয়ে আমি সহ পরিচালনা কমিটির অধিকাংশ সদস্যই কিছুই জানিনা, এমনকি কত তারিখে এবং কোথায় নিয়োগ পরীক্ষা হয়েছে বা কত তারিখে কোন পত্রিকায় নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে তাও আমরা জানিনা।
স্থাণীয় বাসিন্দা মোঃ সোহেল সিকদারসহ কয়েকজন অভিযোগ করেন, মহামান্য হাইকোর্টের নির্দেশনা অনুযায়ী একই ব্যক্তি পর পর ২ বারের অধিক সময় বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি পদে থাকতে পারবেন না,কিন্তু সভাপতি মোঃ মাইন উদ্দিন সিকদার ৪ বার সভাপতি পদে বহাল আছেন। এই নিয়োগ বাতিলের জন্য প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
এ বিষয়ে বিদ্যালয়ের পরিচালনা পরিষদের সভাপতি মোঃ মাইন উদ্দিন সিকদারের সাথে মুঠো ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, নিয়োগে কোন অনিয়ম করা হয়নি। কোথায় নিয়োগ পরীক্ষা হয়েছে বা কত তারিখে কোন পত্রিকায় নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে জানতে চাইলে তিনি বলেন – এ বিষয়ে প্রধান শিক্ষক ভালো বলতে পারবেন,তার সাথে কথা বলেন।
প্রধান শিক্ষক মোঃ আঃ ছালাম বলেন, নিয়ম মেনে বিদ্যালয়ে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হয়েছে। উপজেলা একাডেমিক সুপারভাইজার মো. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, নিয়োগের বিষয়ে আমি কিছু জানি না।
উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান খাঁন মোঃ আবু বকর ছিদ্দিকী বলেন, এ বিষয়ে একটি অভিযোগ পেয়েছি,তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করবো।
পটুয়াখালী জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মুহাঃ মুজিবুর রহমান বলেন, বিদ্যালয়ে নিয়োগের ক্ষেত্রে ম্যানেজিং কমিটির সকল সদস্যকে অবহিত করা উচিৎ। যদি অধিকাংশ সদস্যদের না জানিয়ে বা গোপনে নিয়োগ দিয়ে থাকে তাহলে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তার সাথে আলোচনা সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেয়া হবে। ##
মির্জাগঞ্জে অর্থের বিনিময়ে গোপনে কর্মচারী নিয়োগের অভিযোগ
Recent Comments
Hello world!
on