Thursday, December 7, 2023
Thursday, December 7, 2023
Homeজাতীয়রাঙ্গাবালীতে জসিমের চিংড়ি পোনার রমরমা ব্যাবসা

রাঙ্গাবালীতে জসিমের চিংড়ি পোনার রমরমা ব্যাবসা


মোঃমনিরুল ইসলাম রাঙ্গাবালী (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি

রাঙ্গাবালী   উপজেলায় বড়বাইশদিয়া  ইউনিয়ানের আগুনমূখা নদীতে চলছে চিংড়ি পোনা আহরনের মহোৎসব। উপকুলীয় এলাকার প্রভাবশালীরা  দরিদ্র জনগোষ্ঠীদের মাঝে লাখ লাখ টাকা (অগ্রিম প্রদান) দাদন  সংলগ্ন উপকুলের সর্বত্র ছড়িয়ে দিয়ে এক প্রকার মৎস্য সম্পদ ধ্বংসের প্রতিযোগীতায় নেমেছে।
অভিযোগ উঠেছে,সংশ্লিষ্ট উপজেলা মৎস্ বিভাগ ও   উর্ধতন কর্মকর্তাদের ম্যানেজ করে মৎস্য আড়তের মহাজনরা বা দাদন ব্যবসায়ীরা চালাচ্ছে অবৈধ চিংড়ি  পোনার রমরমা ব্যবসা। আর এ অবস্থায় স্থানীয় প্রভাবশালীরা তাদের দারিদ্রতার সুযোগ কাজে লাগিয়ে প্রতি বছর রেনুপোনা আহরণ মৌসুমের শুরুতে কয়েক কোটি টাকা (অগ্রিম প্রদান) দাদন দেয়। পোনা আহরন, পরিবহন ও বাজারজাত করণ আইনের দৃষ্টিতে নিষিদ্ধ হলেও তা মানছে না এ প্রভাবশালীরা ।
প্রশাসনিক নজরদারীর এড়িয়ে উপকুলীয় এলাকা গুলোতে চিংড়ি পোনা আহরণ করতে গিয়ে সংশ্লিষ্টরা শত শত প্রজাতির রেনু পোনা অংকুরে বিনষ্ট করছে।
একারনে মাছের বংশ বিস্তার বাড়াতে বিভিন্ন প্রজাতির পোনা ধ্বংশের হাত থেকে রক্ষা করতে বর্তমান সরকার জেলেদের মাঝে জেলে কার্ডসহ বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা প্রদান করে আসলেও তার সঠিক সুফল মিলছে না এ অঞ্চলে।
একটি  বাগদা চিংড়ির পোনা নদী থেকে আহরণ কালে বিভিন্ন প্রজাতির ২৫০-২৮০ টি পোনা বিনষ্ট করছে আহরণকারীরা।
নাম প্রকাশে অনইচ্ছুক একজন এলাকাবাসী বলেন,  দেশের  মৎস্য সম্পদ ধ্বংশের সাথে যারা জড়িত তাদেরকে দ্রুত চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনতে না পারলে ভবিষ্যতে  নদী নালাতে মৎস্য সম্পদ হুমকির মুখে পরার আশংকা রয়েছে।
এ বিষয়ে টুঙ্গীবাড়িয়ার পোনা ব্যাবসায়ী বিপ্লব হাওলাদার  বলেন, আমরা পোনার ব্যাবসা করি না, করে বাবলাতলার  জসিম।আমরা শুধুমাত্র আড়ৎদারি পাই।এ ব্যাবসা তো অবৈধ, কি ভাবে করে আপনারা ও বুঝেন।সবার সাথে সমন্বয় না করে এ ব্যাবসা পরিচালনা করতে পারেনা।তিনি আর ও বলেন বাবলাতলার মাসুদ হাজীর নেত্রীত্বে এ ব্যাবসা পরিচালনা হচ্ছে। এটা একটা বড় সেন্ডিকেট। এরা বাবলাতলা থেকে বোট নিয়া  দিনে এসে আড়ালে অবস্থান নেয়,সারাদিন পোনা গুনে তা নিয়া রাতে চলে যায়।এই পোনা নিয়া কিছু পোনা ঘেরে দেয়, বাকি পোনা কলাপড়া নিয়া গাড়ি দিয়ে মোংলা,চালনা করে।
উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা  আনোয়ারউল হক বাবুল বলেন,এটা তো এভাবে ধরা যাবে না,আমি কোস্টগার্ডকে বলবো তারা যেন তৎপর থাকে,আমি ও বিষয়টি খোজ নিয়া দেখবো।আগে বড় সেন্ডিকেট ধরা দরকার।
পোনা ব্যাবসায়ী জসিম বলেন,আমি আপনার সাথে কি বলবো।এ ব্যাবসা সারা দেশে চলে তারা যে ভাবে করে আমি ও সেইভাবে করি।

RELATED ARTICLES

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -
Google search engine

Most Popular

Recent Comments