কে এম সোহেল, আমতলী প্রতিনিধিঃ বরগুনার আমতলী উপজেলার খাকদান সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটি গঠনের নির্বাচনী কার্যক্রমে অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে। ২২ মার্চ সকালে আমতলী উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন স্কুলের অভিভাবক মোসাঃ ইরানী বেগম ।
তার দেয়া লিখিত অভিযোগে জানা যায়, গত ৩০ শে জুন,২০১৬ ইং তারিখ ১৫নং দক্ষিন খাকদান সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বিগত কমিটির মেয়াদ শেষ হয়। বিধিমোতাবেক নিয়মিত ম্যানেজিং কমিটির মেয়াদ শেষ হওয়ার পর এডহক কমিটি গঠন করার কথা। কিন্তু ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক তার স্বীয় স্বার্থ হাসিলের জন্য অদ্যবধি এডহক কমিটি গঠন করে নাই।বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা না করে মেয়াদ উত্তীর্ন কমিটি বহাল রাখে। বর্তমানে ০৯/০৪/২০১৭ই তারিখ অভিভাবক সদস্য পদে নির্বাচনের দিন ধার্য করে উপজেলা শিক্ষা অফিস থেকে তপছিল ঘোষনা করেন যাহার মনোনয়ন পত্র বিতরনের তারিখ ১৬/০৩/১৭ ইং।প্রাথমিক ও গন শিক্ষা মন্ত্রনালয়ের বিদ্যালয়-২ শাখার ১৫/১১/২০১২ তারিখের ৬৮৮ নং স্মারকের প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী গেজেটের ০২ নং ক্রমিকের কমিটি গঠন পদ্ধতি এর ২.৬ ধারার (খ) উপধারার বিধান মতে ”এডহক কমিটি’ মনোনয়ন পত্রের ফি নির্ধারন করবেন মর্মে উল্লেখ রয়েছে। কিন্তু ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক একক ক্ষমতা বলে নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা না করে মেয়াদ উত্তীর্ন কমিটি মাধ্যমে(দুই হাজার) টাকা মনোনয়ন পত্রের ফি নির্ধারন করেন। ১৬/০৩/২০১৭ ই তারিখ ১১টি মনোনয়ন পত্র বিতরন করা হয়। যাহার মধ্যে আমি দরখাস্তকারী ও ০১টি মহিলা অভিভাবক সদস্য মনোনয়ন তাৎক্ষনিক টাকার অভাবে ক্রয় করতে পারিনাই।
আমার সামনে ০৫ জন সদস্য পদ প্রার্থী প্রত্যেকে দুই হাজার টাকা দিয়ে মনোনয়ন পত্র ক্রয় করেন।তারা দুই হাজার টাকার রশিদ চাহিলে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক রশিদ দিতে অপরাগতা প্রকাশ করে।এছাড়াও ভোটার তালিকায় বিভিন্ন ধনের ত্রুটি রয়েছে বলেও তিনি অভিযোগে উল্লেখ করেন । একই ব্যক্তি একাধিকবার ভোটার হয়েছেন। মো: নাসির প্যাদা ০২ বার ভোটার হয়েছেন যাহার ভোটার নং -০৯ ও ১৮৭নং এবং আইয়ুব প্যাদা ০২ বার যাহার ভোটার নং -৭১ও২৪৯ নং । এভাবে সুপ্রিয়া বেগম ১০ ও ১৮৮নং এবং নাজমা বেগম ৭২ও ২৫০ নং ভোটার হয়েছেন যাহা ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক পূর্ব পরিকল্পিতভাবে করেছেন।
এছাড়াও চুড়ান্ত ভোটার তালিকায় ০১ ও ০২ নং ভোটার যথাক্রমে শাহাবুদ্দিন হাং ও কহিনুর বেগম স্থায়ী ভাবে পূর্ব কুকুয়ার বাসিন্দা। কিন্তু তাদের ভোটার হয়েছেন খাকদান।তাছাড়াও নিজ স্বার্থ হাসিলের জন্য নিজের তার পছন্দসই লোকদের অবৈধ সুবিধা দেয়ার লক্ষে বাকিতে মনোনয়ন পত্র দেনযাহা পক্ষ পাতিত্বের সামিল এবং যাহা বিধি সম্মত নয় বলেও অভিযোগে উল্লেখ করেন।
এ প্রসঙ্গে স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মো, রাসেল মিয়ার কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন আমরা মানুষ আমাদের ভুল হইতে পারে ভুল হইলে সংশোধন করে দিবো।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো.মুশফিকুর রহমান বলেন অভিযোগ পেয়েছি উপজেলা কৃষি অফিসার কে জরুরী ভিত্তিত্বে তদন্ত প্রতিবেদন দেয়ার জন্য নির্দেশ দেয়া হয়েছে।