Friday, April 19, 2024
Friday, April 19, 2024
Homeজাতীয়রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে ধ্বংসস্তুপে পরিণত গলাচিপার বীজ গাঢ় গুলো

রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে ধ্বংসস্তুপে পরিণত গলাচিপার বীজ গাঢ় গুলো

হাসান এলাহী, গলাচিপা (পটুয়াখালী) প্রতিনিধিঃ
পটুয়াখালীর গলাচিপায় দুর্যোগ মৌসুমে কৃষিবীজসংকট মোকাবেলায় উন্নতমানের বীজসংরক্ষণ ও কৃষককে কৃষিতথ্য সরবরাহের লক্ষ্যে গড়ে তোলাহয়েছিল বীজাগার। উপজেলার ১২টি ইউনিয়নের মধ্যে ৯টি ইউনিয়নে গড়ে তোলা ৯টি বীজাগারই দীর্ঘ সময়ধওে পরিত্যক্ত হয়ে পড়েআছে। অবকাঠামোর বেহালে বীজাগার গুলো কৃষি ও কৃষকের উন্নয়নে কোনো কাজে লাগছে না। সেখানে কোনো কার্যক্রম নেই। কৃষি পরিষেবার একটি জনগুরুত্বপূর্ণ কার্যক্রমের এই হালে হতাশ কৃষকরা। উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, দেশের স্বাধীনতার আগে ও পরে ইউনিয়ন পর্যায়ে কৃষি স¤প্রসারণের জন্য বীজা গাঢ় বা বীজ কেন্দ্র গড়ে তোলা হয়। আপৎকালীন এর জন্য বীজ সংরক্ষণ কৃষি তথ্য সেবার পাশাপাশি প্রতিটি ইউনিয়নে একজন উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তার অফিস ও আবাসনের লক্ষ্য নিয়ে এই কেন্দ্র গড়ে উঠেছিল। যাতে কৃষক কৃষি পরিসেবা সুবিধা তাদের হাতের কাছে পান। কিন্তু নানা সংকটে এগুলো এখন অকার্যকর। গলাচিপায় ৯টি বীজকেন্দ্র এখন অচল। সংস্কার না করায় বীজাগারের অতি পুরনো পাকা স্থাপনা বা অবকাঠামোগুলো ধসে পড়ার উপক্রম। কোনো কোনোটি ধ্বংসস্তুপ্তে পরিনত হয়েছে। সেখানে বীজসংরক্ষন, কৃষি প্রযুক্তি সুরক্ষা ও কৃষি বিভাগের কোনো দাপ্তরিক কার্যক্রমই চলছে না। উপজেলার ঐ ৯টি কেন্দ্র হল গলাচিপা ইউনিয়ন বীজাগার, আমখোলা ইউনিয়ন বীজাগার, গোলখালী ইউনিয়ন বীজাগার, ডাকুয়া ইউনিয়ন বীজাগার, চিকনিকান্দি ইউনিয়ন বীজাগার, পানপট্টি ইউনিয়ন বীজাগার, চরবিশ্বাস ইউনিয়ন বীজাগার, উপজেলা উদ্ভিদ সংরক্ষন গোডাউন দিনদিন দখল হয়ে যাচ্ছে, কলাগাছিয়া ইউনিয়ন বীজাগার ঘিওে আছে জঙ্গল। গলাচিপা কলাগাছিয়া ইউনিয়নের সফল কৃষক নির্মলশীল বলেন, একসময় ইউনিয়ন বীজাগার থেকে কৃষকরা আপৎকালে মানসম্মত বীজ সংগ্রহ করতেন। এসব বীজকেন্দ্র থেকে কৃষকরা কৃষি বিষয়ে নানা পরামর্শ সুবিধাও পেতেন। বর্তমানে কেন্দ্রগুলোর কোনো কার্যক্রম নেই। অথচ কৃষির উন্নয়নে বীজাগারের ভ‚মিকা খুবই অপরিসীম। তিনি আরো বলেন, ইউনিয়ন বীজাগার গুলো চালুকরলে কৃষি ও কৃষকেরলাভ হবে। উপজেলার কলাগাছিয়া কৃষি উপ-সহকারি কৃষিকর্মকর্তা মো.নাহিদ হাসানবলেন, সারাদেশে ইউনিয়ন পর্যায়ে বীজসংরক্ষণ ও কৃষি তথ্যসেবার পাশাপাশি উপ-সহকারি কৃষিকর্মকর্তাদের আবাসনের জন্য সিডহাউস গুলো (বীজাগার) গড়ে তোলাহয়েছিল। সংস্কার ও কার্যক্রম না থাকায় এগুলো পরিত্যক্ত হয়ে পড়েআছে। উপজেলা কৃষিকর্মকর্তা আরজুআক্তার বলেন, কৃষি ও কৃষকের স্বার্থে গড়ে তোলা এসব বীজাগারের অবকাঠামো কয়েক যুগ ধওে ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে এখন পরিত্যক্ত। জনগুরুত্বপূর্র্ণ এ অবকাঠামোসহ কার্যক্রমের বাস্তব অবস্থা ও ঘটনাস্থল পরিদর্শন কওে প্রতিবেদন দেওয়ার পর বীজাগার গুলো কার্যকর করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে সুপারিশমালা পাঠানোর উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।

RELATED ARTICLES

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -
Google search engine

Most Popular

Recent Comments